অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার আগে খন্দকার মোশাররফ আদালতে উপস্থিত হন। রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন খন্দকার মোশাররফের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। পরে একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত মুদ্রা বিদেশে পাচার করে আইনপরিপন্থী কাজ করেছেন।
খন্দকার মোশাররফ ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
ড. খন্দকার মোশাররফ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ হয়।