সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বার্ষিক আয় কমেছে ৯ লাখ ৭০ হাজার ১৯৫ টাকা। তবে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৬ টাকার। তাঁর স্থাবর সম্পদও বেড়েছে ৩৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৫ টাকার। পাঁচ বছর আগে তাঁর স্ত্রীর নামে ৮ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল, এখনো ততটুকুই আছে।
স্নাতকোত্তর পাস মোমেনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এবার হলফনামায় পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ‘রাজনীতি ও অন্যান্য’। ২০১৮ সালে তাঁর পেশা ছিল ‘শিক্ষকতা ও অন্যান্য’। আয়ের উৎস বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ টাকা। পেশা থেকে বছরে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকের মুনাফা বাবদ আয় ৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৫২ টাকা।
হলফনামার তথ্য অনুসারে, আব্দুল মোমেনের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ২৪১ টাকা; যা ২০১৮ সালে ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১০ টাকা। সে সময় বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ১ হাজার ৯৪৬ মার্কিন ডলার। এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর নিজের নামে জমা টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ৬৯৫ টাকা; যা গতবার ছিল ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৮ টাকা। ৮ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে তাঁর, যা আগে ছিল ১০ লাখ টাকার। আব্দুল মোমেনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ রয়েছে ১০ লাখ টাকা। যানবাহন দেখিয়েছেন ২০ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে ৫ লাখ টাকার।
আগেরবারের হলফনামায়ও একই পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এবার আব্দুল মোমেনের অন্যান্য আয় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯১ টাকা; আগেরবার যা ছিল ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৩ টাকা। তাঁর স্ত্রীর স্বর্ণালংকার রয়েছে ৫ লাখ টাকার। আসবাবপত্র ৩ লাখ টাকার। এগুলো আগেরবারও একই পরিমাণ ছিল।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অকৃষিজমি অর্জনকালীন দাম দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দালানকোঠা অর্জনকালীন দাম ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ টাকা। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টের অর্জনকালীন দাম ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮২৫ টাকা, যা আগেরবার ছিল ৩ কোটি ৮২ লাখ ৬ হাজার টাকার।
আব্দুল মোমেনের ব্যাংকে দায়দেনা নেই। গত পাঁচ বছরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ঢাকা-সিলেট ছয় লেন রাস্তার কাজ চলমান, সিলেট-কুমারগাঁও এবং বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট চার লেন রাস্তার কাজ চলমান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষের পথে।