যশোর প্রতিনিধি
বিএনপিকে সংস্কারের ব্যাপারে কারও ছবক নেওয়া লাগবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যত সংস্কার হয়েছে ৯০ শতাংশ বিএনপি বাস্তবায়ন করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোরে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
যশোর শহরের একটি হোটেলে ‘খুলনা বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ী সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কার অনেক দলের কাছে নতুন কিছু হতে পারে; তবে বিএনপির জন্য নতুন কিছু না। বিএনপি একমাত্র দল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ৯০ শতাংশ সংস্কার, যা করা হয়েছে সেটা বিএনপিই করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ যেখানে এসেছে, এটা বিএনপির সংস্কারের কারণেই। সেটা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমানের একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র; সরকার চালিত মুক্ত অর্থনীতি থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতি থেকে। প্রতিটি পদক্ষেপে সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ এখানে এসেছে। আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি করেছিলাম; সেটা অব্যাহত থাকলে অনেক আগেই উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতো বাংলাদেশ। কিন্তু বিগত সময়ে লুটপাটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং, বিএনপিকে সংস্কারের ব্যাপারে কারও কাছ থেকে ছবক নেওয়া দরকার হবে না। আমরা আমাদের ৩১ দফা শুধু দেই নাই; তার আগে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ মাধ্যমে দেশ সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরে ছিলেন। সেখানে দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সবগুলো দেওয়া হয়েছে ছয় বছর আগে। আর দেড় বছর আগে ৩১ দফা তৈরি করেছি, আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের মতামতের ভিত্তিতে সকলের মিলেই জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নতুন ভ্যাট ও শুল্কে আরও চাপে পড়বে মানুষ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘মানুষ নিত্যপণ্যে দামে নাকাল হয়ে পড়েছে। অনেকের দৈনন্দিন জীবন চালাতে কঠিন হয়ে পড়েছে মূল্যস্ফীতির কারণে। ফলে এই কর–ভ্যাট দারিদ্র্যসীমার নিচে যাবে অকল্পনীয়। ফলে এই সরকারকে বলছি, এই কর, এই ভ্যাট প্রত্যাহার করেন। আপনাদের এখন করা উচিত, স্বৈরাচার সরকারের বাজেট বাতিল করা। আপনারা এখন অন্তর্বর্তী বাজেট ঘোষণা করেন। কারণ স্বৈরাচারের বাজেট তো দুর্নীতির বাজেট।’
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাবেক এমপি সলিমুল হক কামাল, বিজিএমইএ সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান বাবুল, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ। মতিবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা নিজ নিজ জেলায় বিভিন্ন সমস্যা ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।