নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৬০ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে ২৭ জনকে বিভিন্ন বিভাগের সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কার্যকরী পরিষদের ৬০ জনের মধ্যে ৪৬ জন সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে ১৪ জনকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেন।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
কমিটিতে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ। আর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাবি শিবিরের সদ্য সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক পদে আজিজুর রহমান আজাদ, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. নাজমুস সোয়াদ রফি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু. মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, সাহিত্য সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাঈম, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিছবাহ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ মো. মিছবাহুল করিম, বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান, ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূইয়া, ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবু মুসা, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মো. নোমান হোসেন নয়ন নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমেন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, এইচআরডি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, বিতর্ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, পাঠাগার সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, মানবাধিকার সম্পাদক মো. সিফাত উল আলম, আইন সম্পাদক আরমান হোসেন এবং কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক পদে ইঞ্জি. এস এম তানভীর উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-এর ২০২৫ সেশনের জন্য সারা দেশের সব শাখা, কার্যকরী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২৫ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত ও সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত হন। এরপর সারা দেশে একযোগে সদস্য শাখা, সাথী শাখা ও জেলা শাখাসমূহের কমিটি গঠন সম্পন্ন করা হয়।
পরে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি দুদিনব্যাপী কার্যকরী পরিষদ সদস্য নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবিধান অনুযায়ী সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৪৬ জন কার্যকরী পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৬ ও ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের প্রথম সাধারণ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে আরও ১৪ জন কার্যকরী পরিষদ সদস্য মনোনয়ন দেন। পাশাপাশি কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে তিনি কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট গঠন সম্পন্ন করেন।