শ্যামপুর-কদমতলী (প্রতিনিধি) ঢাকা
ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবিতে রাজধানীর ডেমরায় বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার চৌরাস্তা এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সদস্য ও ডেমরা থানা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নায়লা ইসলামকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করা হয়েছে।
ডেমরা কলেজে সালাহ্উদ্দিন আহমেদের এই হুমকি দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, বিএনপি থেকে বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সালাহ্উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মহিলা দলের নেতা-কর্মীরাসহ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে রাজপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় ডেমরা থানা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ সরব হয়েছেন সাবেক এমপি সালাহ্উদ্দিন আহমেদ ও তাঁর অনুসারীরা। অথচ বিগত আন্দোলন-সংগ্রামের ১৭ বছর বিএনপির রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। বর্তমানে সুসময় দেখে আবারও বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাঁধে চড়ে ঢাকা-৪ আসন ছেড়ে ঢাকা-৫ আসনে এমপি হওয়ার আশায় আছেন।
তাঁরা আরও বলেন, ‘আগে শেখ হাসিনার গুন্ডাপান্ডারা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ঘুম–খুনের হুমকি দিত, আর এখন হুমকি দেন সালাহ্উদ্দিন। দ্রুত সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে।’
হুমকির শিকার নায়লা ইসলাম বলেন, ‘সদ্যই সালাহ্উদ্দিন যাত্রাবাড়ী এ কে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজসহ অসদাচরণ করেছেন। তাঁর কথা না শুনলে এবং সময়মতো তাঁর সঙ্গে দেখা না করলে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে হাড় ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এ ছাড়া ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড. নূরে আলমকেও একই সভায় সালাহ্উদ্দিন হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই আমি দলের হাইকমান্ডের কাছে দ্রুত সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।’
উল্লেখ্য, ১৮ জানুয়ারি এক সভায় প্রকাশ্যে ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক নায়লা ইসলামকে মেরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন সালাহ্উদ্দিন। এ ছাড়া তিনি দলীয় নেতা-কর্মীসহ শিক্ষকদের গালিগালাজ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ আছে।