হোম > রাজনীতি

রাত নামলেই জনপদে নামছে আতঙ্ক, মামলা-বাণিজ্যে থানাগুলো রমরমা: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশজুড়ে চলা গণগ্রেপ্তারে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘রাত নামলেই জনপদে নামছে আতঙ্ক। গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নদীতে অবস্থান নিচ্ছে। গাছতলায়, বাঁশঝাড়ে, ঝোপে-জঙ্গলে রাত্রি যাপন করছে।’
 
আজ শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘একাত্তরের মতোই দেশের প্রতিটি জনপদে গ্রামগঞ্জে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বন-বাদাড়-মাঠে-প্রান্তরে-ফসলের খেতে পলাতক জীবন যাপন করছে। রাত নামলেই জনপদে নামছে আতঙ্ক। প্রতিদিন বেশুমার গণতন্ত্রপন্থীদের নামে মামলা হচ্ছে। মামলা-বাণিজ্যে থানাগুলো এখন রমরমা। ঘরে ঘরে এখন আতঙ্ক।’

রিজভী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের অভাবনীয় অংশগ্রহণ দেখে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে সরকার। গোটা দেশকে রীতিমতো শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে নিক্ষেপ করা হয়েছে। জনগণ এখন একাত্তর সালের মতো মুক্তিযুদ্ধের ভয়ংকর পরিবেশে বসবাস করছে। পুলিশের অতি দলবাজরা এখন আওয়ামী লীগ লিমিটেড কোম্পানির কর্মচারীতে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দলদাস কর্মকর্তা-সদস্যরা পাক হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা এখন রাজাকারের মতো।’

রিজভী বলেন, ‘একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা হানাদার বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর চিনিয়ে দিত, তাদের লুটপাট তাণ্ডবে সহযোগিতা করত। আর বর্তমানে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাজাকারদের মতো র‍্যাব-পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত আওয়ামী পুলিশ লীগকে গণতন্ত্রকামী মানুষের বাড়িঘর চিনিয়ে দিচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে রোববার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সফল করার জন্য দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হাতুড়ি-চাপাতি-লগি-বইঠাধারী আওয়ামী-সন্ত্রাসীরা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে—তাণ্ডব চালাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৩১৫-এর অধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় মামলা হয়েছে ১২টি এবং ১ হাজার ৩৭০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৪০৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিরাপত্তা শঙ্কায় ইসিতে ব্যারিস্টার ফুয়াদ ও রেহা কবির সিগমা

নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জাপা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু

আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাল সিপিজে

ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

তারেক রহমানের জন্য বিএনপির অভ্যর্থনা কমিটি

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামছুল ইসলাম

মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: মঈন খান

একটি বিশেষ মহল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: শামসুজ্জামান দুদু

৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, সাক্ষাৎকার ২১ ডিসেম্বর