আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যারা এমনটা করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।
আজ শুক্রবার ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে। যারা সহিংসতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘’৭১-এ যারা বেইমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তারা এখনো বেইমান। এখানে ’৭১-এর খুনি, ’৭৫-এর খুনি, ২১ আগস্টের খুনি এবং ২৪ সালেও একই খুনি ও বিশ্বাসঘাতক। আর তারা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।’
কতজন মারা গেছে সেই সংখ্যা সরকারের কাছে আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। উত্তরায় জাহাঙ্গীরের (গাজীপুরের সাবেক মেয়র) সঙ্গে থাকে জুয়েল; তাঁকে মেরে লটকে রাখা হয়েছে। কী বর্বরতা! এ ছাড়া আরও হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সবগুলোই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এবং প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।