ঢাবি প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তাদের(আওয়ামী লীগ) ঝুলিতে আর কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমাদের কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রশক্তি আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আমরা কী পেয়েছি।’
আজ বুধবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, তারা (আ.লীগ) গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হত্যা করেছে, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিরুদ্দেশ করেছে, তারা আর কি বলবে! তারা (আ.লীগ) এখন বিভিন্নভাবে আবোল-তাবোল কথা বলে বিভ্রান্ত তৈরি করছে। তাদের ঝুলিতে এখন আর কিছুই নেই।
আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘অনেক রক্ত ঝরিয়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি না। আমাদের কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রশক্তি আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আমরা কী পেয়েছি? গণতন্ত্রের মা, গণতন্ত্রের প্রতীক—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ছয়-সাত বছর বন্দী। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষের সকল অধিকারকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। একুশে চেতনার মূল উপাদান হচ্ছে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। একুশের চেতনার মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয়তাবাদের প্রথম অনুভূতি লাভ করি।একুশের চেতনাই আমাদেরকে প্রেরণা দেয়। একুশের চেতনাই আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে।’
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জুলুম-নিপীড়ন, ‘২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখা, বন্দী করে রাখা, তারপরেও আজকে যখন তারা বেরিয়ে আসছে তখন তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে নতুন সংগ্রামে, নতুন আন্দোলনে। আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, বন্দী গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই হবে, আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই, সোচ্চার হয়ে কথা বলতে চাই, নির্বিঘ্নে কথা বলতে চাই। অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণা একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়ে যাব,আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হব।’
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।