নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির নারী নেত্রীদের নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের অশোভন উক্তির প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। আজ রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে মন্ত্রীর কুশপুতুলে আগুন দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই দেশ বাংলাদেশের মানুষের, অন্য কারও নয়। যদি যেতে হয়, তাহলে জনগণের কাছে যেতে হবে। বিদেশিদের কাছে গিয়ে কোনো লাভ নেই। রাত বিরাতে মহিলা নেত্রীদের সাজগোজ করিয়ে নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া দয়া করে বন্ধ করুন। এতে কোনো লাভ হয় না।
ঝাড়ু মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ওরা (আওয়ামী লীগ সরকার) ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া প্রত্যেক জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন। ওরা পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে তাঁরা ঘুরে এসেছে আশানুরূপ কিছু পেয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তাই এখন তাঁরা বিএনপির নারী নেত্রীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছে।’
রিজভী বলেন, ‘দেশটা এমন পর্যায়ে চলে গেছে মা-বোন, স্ত্রী-কন্যাদেরকে নিয়ে বসবাস করার মতো আর সেই দেশ নেই। এই দেশে যারা মন্ত্রী বলে দাবি করে তাঁরা লাগামহীন। তাঁরা জানে তাঁদের ভোট করতে হবে না। সুষ্ঠু ভোটের দরকার নেই। জনগণের কাছে যেতে হবে না। তাই যা ইচ্ছা তাই তাঁরা করছে, যা ইচ্ছা তাই তাঁরা বলছে।’
রিজভী আরও বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, চৌধুরী আলমকে গুম করেছে, হুমায়ুন পারভেজ, সুমন, জাকিরকে গুম করেছে। গুম করতে করতে ওরা এখন নারী সমাজের ইজ্জতকে গুম করা শুরু করেছে। আজ নারী সমাজ বাংলাদেশে নিরাপদ নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আপনি হাছান মাহমুদ চরিত্রহননের কথা যে বলতে পারেন এটা স্বাভাবিক। আপনার দলের সংস্কৃতিতো তাই। এই অশ্লীলতা আপনার একার নয়, আপনার মন্ত্রী, নেতা-কর্মী সবারই একই রুচি। একই রুচির বিকৃতি আপনাদের। এর চেয়ে অন্য কিছু আপনাদের কাছে আশা করা যায় না।’