কিছু ভুল-বোঝাবুঝির কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন বন্ধ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের হুইপ মাহবুব আরা গিনি। গাইবান্ধার চরাঞ্চলের মানুষ ইভিএম দেখে ভীত হয়ে সাহায্য চেয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন গাইবান্ধা-২ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব আরা গিনি।
ওই নির্বাচনে ইভিএম ও ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কথা উল্লেখ করে মাহবুব আরা বলেন, ‘প্রথম আমরা যে ভুলটি করেছিলাম, অনেকে অনেককে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিল যে, ভোটটা এভাবে দিতে হবে। কারণ আপনারা জানেন, আমাদের চরাঞ্চলের মানুষ এবং গ্রামের অশিক্ষিত মানুষ এই ভোটের বাক্সটা দেখে কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। তার জন্য তারা সাহায্য চেয়েছিল।’
মাহবুব আরা বলেন, ‘পরবর্তী সময় ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁরা বলে দেন, যদি কেউ ভোট দিতে পারে দেবে, না পারলে ফিরে আসবে। কেউ সাহায্য করতে যাবে না। সে নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়।’
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও গোপন কক্ষে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ৪ জানুয়ারি আবারও গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বিজয়ী হন।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে এগিয়ে নিতে রাত-দিন কাজ করছেন, তখন বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের কিছু রাজনৈতিক দল দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে কাঁটা ছড়াচ্ছেন।’
জাসদ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি দফার পর দফা দিচ্ছে। তাদের এসব দফার প্রতিটি লাইনের মাঝে লুকিয়ে আছে গভীর ষড়যন্ত্র। তাদের ১০ ও ২৭ দফা হচ্ছে অস্বাভাবিক সরকার আনা, যথাসময়ে নির্বাচন বন্ধ করা।’
এ বাম নেতা বলেন, ‘দেশে এখন একপক্ষে আছে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক পক্ষের শক্তি, আরেক পক্ষে আছে পাকিস্তানপন্থী। তাই শুধু একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করে এই বিরোধের অবসান হবে না। রাজনীতির ক্লাব থেকে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিদের চিরবিদায় দিতে হবে।’