দেশের টাকা পাচারকারীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ‘সাক্ষাৎ শিষ্য’। এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (একাংশ) নেতা হাসানুল হক ইনু।
টাকা পাচারকারীরা ‘ডবল চোর’ উল্লেখ তিনি বলেন, ‘এরা দেশের ভেতরে একবার চুরি করে, বিদেশে টাকা পাঠানোর জন্য আরেকবার চুরি করে। দেশে এই ডবল চোরদের ধরার জন্য আইন আছে, মামলাও আছে। তাই এই বিদেশে পাচার করা টাকা আনার জন্য যে প্রস্তাবটা হয়েছে দেশের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমি বাতিল করার প্রস্তাব করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কথা বলেন ইনু।
ইনু বলেন, ‘টাকা পাবেন কোথায়? এনবিআরকে অটোমেশন করেন। ৫৪৪টি উপজেলায় কর অফিস স্থাপন করেন। ৯ লাখ হাটবাজার, দোকানিদের করের আওতায় নিয়ে আসেন। ১ কোটি টাকার বেশি আয়কর দিতে পারে এমন লোক বাংলাদেশে ২ লাখ আছে। ওইটা ধরেন, ২ লাখ কোটি টাকা আপনি পাবেন।’
জাসদ সভাপতি আরও বলেন, ‘বাজেটে টাকা পয়সা বাড়িয়ে লাভ নাই। বরঞ্চ আপনি মৌলিক পরিবর্তন অর্থাৎ বাসস্থান, শিক্ষা, খাদ্য, নিরাপত্তা, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সর্বজনীন ব্যবস্থা গড়তে, অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বাড়তি বরাদ্দ দেন।’
বাজেট বাস্তবায়নে রাজনৈতিক শান্তি দরকার উল্লেখ করে ইনু বলেন, ‘অশান্তির রানি বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গি হেফাজত চক্র, যারা মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করে এবং মানে না। তারা দেশের শত্রু, মাঠে নেমেছে। ভোটের আগে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে চায়।’
ইনু বলেন, ‘অপরদিকে চলছে ঘরের ভেতরে দুর্নীতিবাজ ঘরকাটা ইঁদুরদের উৎপাত। শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সরকার, দুই শত্রুর আক্রমণের মুখে। দেশ শত্রুর আক্রমণের মুখে, ঘরের শত্রুর আক্রমণের মুখে। ভোটের আগে যারা সরকার উৎখাতের প্রস্তাব দিচ্ছে তারা সাংবিধানিক পদ্ধতি বানচাল করতে চায়।’
ভোটের আগে যারা সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে তারা খাল কেটে অস্বাভাবিক সরকার আনতে চায় মন্তব্য করে ইনু বলেন, ‘ভোটের আগে যারা সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে তারা তালেবানি সরকার আনার চেষ্টা করছে। আমি এই দুই সরকারকে কুমিরের সঙ্গে তুলনা করছি। এই দুই কুমির আনার ভয়াবহ চক্রান্তকে মোকাবিলা করতে হবে।’