জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জিয়াউর রহমান দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে নাগরিক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী-সন্তানের রাজনীতি নিষিদ্ধ, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড, জঙ্গি মদদ ও নাশকতার প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশটির আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলা’ ঢাকা মহানগর উত্তর।
হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা, চেতনায় পাকিস্তানি ছিলেন। তাই দালাল আইন বাতিল করে সাড়ে ১১ হাজার রাজাকারকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত ইসলামিকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে গেছেন।
পৃথিবীর কোনো দেশে যুদ্ধাপরাধীর দল স্বাধীনতার পরে সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ নেই জানিয়ে হানিফ বলেন, বাংলাদেশে এখনো স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজনীতি করে যাচ্ছে। এই সুযোগ কারা করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের সমাজকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে গেছেন। এক পক্ষে জাতির পিতার হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ আরেক দিকে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতার বিরোধী পক্ষ।
জামায়াত একাত্তর সালে রাজাকার ছিল, এখনো রাজাকার আছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, তাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কসাই কাদের মোল্লা, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসিতে দেশের মানুষ খুশি হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছিল। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আহমদ বলেছিলেন, কাদের মোল্লা, নিজামী, মুজাহিদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। এ দেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। আমরা আশা করি, সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি সেই সময়ে আন্দোলন শুরু করেছে। তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীলনকশা করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যত দিন থাকবে তত দিন আলোকিত থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ প্রমুখ।