বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খুশি করতে বিএনপি নেতা-কর্মীরাই প্রতিষ্ঠান বানিয়ে সেখান থেকে তাঁকে পুরস্কার দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মালয়েশিয়ায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া দেশটিতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে এম খায়রুজ্জামানকে রক্ষায় জামায়াত-বিএনপি লবি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি বিভিন্ন নামে এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। যেমন খালেদা জিয়াকে তিন বছর আগের একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করেছেন তাদের দলের নেতা-কর্মীরা। আর এ কাজটি যিনি করেছেন, তিনিও বিএনপির পদধারী নেতা। যে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, সেটি তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গণতন্ত্রের জন্য অসামান্য অবদান রাখায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেয় কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার এই প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এ সম্মাননা দেওয়া হলেও ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানায় বিএনপি।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে সমালোচনা শুরু হয়। তবে পুরস্কারের ঘোষণা তিন বছর দেরিতে জানানোর কারণ জানতে চাইলে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতাসহ নানা কারণে বিষয়টি এত দিন জানানো হয়নি।’
প্রসঙ্গত, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৮১ দিন পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলার সাজায় কারাগারে যান তিনি। দুই বছর কারাবাসের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে বাসায় থাকার অনুমতি পান তিনি।