নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যাঁর সানগ্লাস-ঘড়ির দাম লাখ টাকার ওপরে, তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। তিনি কীভাবে রিকশাচালকদের কষ্ট বুঝবেন?’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান বন্ধ করে দিলেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। উনি নিজেই বলেছেন, তাঁর হাতের যে ঘড়ি, এই ঘড়ির দাম অনেক টাকা। অনেক মানুষ বলে, ৫০ লাখ টাকা। তিনি যে সানগ্লাস পরেন, সেটারও অনেক দাম, লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যাঁর সানগ্লাসের দাম এত, ঘড়ির দাম ৫০ লাখ টাকার ওপরে, তিনি এই ব্যাটারিচালিত রিকশাওয়ালাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। তিনি কীভাবে তাদের কষ্ট বুঝবেন। উনি কি জানেন, তারা এক বেলা খায়, নাকি দুই বেলা খায়?’
রিজভী আরও বলেন, ‘এই ব্যাটারিচালিত রিকশা নিশ্চয়ই কোনো দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি করার লাইসেন্স কে দিল? ঢাকাসহ প্রতিটি শহরেই আমি দেখেছি এই ব্যাটারিচালিত যান চলাচল। তাদের এই রোড পারমিশন কারা দিল? আপনার সরকারই দিয়েছে। এগুলো যারা ইমপোর্ট করেছে, তারা তো আওয়ামী লীগের লোক। তারা তো আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী। আর যারা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে, তাদেরই দোষ হয়ে গেল? আপনাদের পেট ভরে বদ হজম হবে, তারপরও আপনাদের টাকা দরকার।’
এলাকার ভেতরে রিকশা চালাতেও যুবলীগ-ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে হয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এরা (রিকশাচালক) কিন্তু এমনি এমনি চালাতে পারে না। আপনার প্রশাসনের লোকদের টাকা দিতে হয়, স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে হয়। এত ঘাটে ঘাটে টাকা দেওয়ার পরও যতটুকু তাদের উপার্জন হয়, সেটা দিয়ে কোনোরকমে তারা দিন যাপন করে। আর এদের ওপরেই আপনারা চালাচ্ছেন স্টিম রোলার। ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি গরিবের আহার কেড়ে নিয়ে, ভাত কেড়ে নিয়ে রাজত্ব করবেন, আপনারা স্বর্গে বসবাস করবেন, ওই স্বর্গ থেকে আপনাদের বিদায় নিতেই হবে।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহ-অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।