বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাভার সিএমএইচ থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় যাচ্ছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে তিনি জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন অনেকটা সুস্থ। তবে তাঁর কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। সেগুলো সিএমএইচে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সার্বক্ষণিক মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আছেন বলেও তখন জানান শায়রুল কবির খান।
এর আগে আজ সোমবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের জন্য এগিয়ে আসতেই নেতা–কর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে মেঝেতে বসে পড়ে যান তিনি। পরে ধীরে ধীরে সেখানেই শুয়ে পড়েন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে এ ঘটনা ঘটে। পরে নেতা–কর্মীরা তাঁকে পাঁজাকোলা করে দ্রুত চ্যানেল২৪–এর গাড়িতে তোলেন। তারপর তাঁকে দ্রুত সাভার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার পরে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। সেখান থেকে একটু সামনেই অপেক্ষা করছিলেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অর্ধ শতাধিক সংবাদকর্মী। মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। সংবাদকর্মীদের ক্যামেরার সামনে এসে তিনি অসুস্থতা বোধ করতেই মেঝেতে বসে পড়েন। তখনো তাঁকে দেখার জন্য ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন নেতা–কর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘিরে ভিড় করেন স্থানীয় নেতা–কর্মীরা। কয়েক মিনিট পরেই মেঝেতে শুয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। তখন তাঁর মাথায় পানি দিতে দেখা যায়। পরে তাঁকে তুলে নিয়ে স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন নেতা–কর্মীরা। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সিএসএফের সদস্যদের।
পরে স্মৃতিসৌধের ভেতরে থাকা চ্যানেল–২৪–এর একটি মাইক্রোবাসে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে দ্রুত বের হয়ে যান নেতারা।