জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘সরকারি দল আনন্দ-ফুর্তি করতে মাঝে মাঝে রাস্তা দখল করে। এসময় লাখো মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়। রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারে না। পরে দলের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তাদের ফুর্তি করাটাই যেন সবচেয়ে জরুরি।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি না করলে যোগ্যতা থাকলেও চাকরি মেলে না, ব্যবসা করতে পারেনা। একটি আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৬ বছরে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এর বাইরে আরো কত শত কোটি টাকা পাচার হয়েছে তার কোন হিসাব নেই।’
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে জাপা নেতা বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ওপর হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রার্থীদের মাঠে দাঁড়াতে দিতে চাচ্ছে না, পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হতে সরকার সমর্থকরা সব ধরনের অনিয়ম করছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘যে মুক্তির জন্য দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে, ত্রিশ লাখ শহীদ জীবন দিয়েছে, লাখ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে–সেই মুক্তি আমরা আজও পাইনি। তাই আবারো মুক্তির সংগ্রাম শুরু করতে হবে। এবারের মুক্তির সংগ্রাম হয়তো আরো কঠিন হবে। হয়তো আরো বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আরো বেশি রক্ত দিতে হবে।’ তাই মুক্তির আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন পার্টির চেয়ারম্যান।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা একতরফা প্রেম করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই আগামীতে নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে বলে।’