আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘আন্দোলনের তীব্রতা যত বেশি বৃদ্ধি পাবে, প্রশাসন তত বেশি নিরপেক্ষ হবে—এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। অথচ বিএনপি ভোট নষ্ট করার জন্য ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে ৬০০ স্কুল-মাদ্রাসা পুড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষ মেরেছে। তারা আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা না থাকলে কোনো আন্দোলনই গতি পায় না।’
আজ বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনে যাবেন না, চ্যালেঞ্জও করবেন না। তাহলে সেই নির্বাচনে যেকোনো একজন তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেনই। কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে সেখানে কাউকে না-কাউকে তো বিজয়ী ঘোষণা করতেই হবে। এটা দোষের কিছু না। এটাই হচ্ছে নিয়ম। নির্বাচনের না এসে বাইরে বসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলার কোনো মানে নেই।’
সাবেক শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায়, তিনি একজনকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করলেও সেই ব্যক্তি রাজি হননি। বাধ্য হয়ে সে সময় তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অহিদুজ্জামান মুন্সি।
আলোচনা সভা শেষে নতুন ভোটারদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি।