রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ঢাকা সমাবেশে এ আহ্বান জানান দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সমাবেশে বক্তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে দেশের বাম দলগুলোকে এক হয়ে দেশকে রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ ছাড়াও নিত্যপণ্যের দাম কমানো, জানমালের নিরাপত্তা, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থায় এখনো হাত দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। পতিত স্বৈরাচারের অপশক্তি থেকে আমাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে চায় ভারত। তাই তারা তাদের লোক ক্ষমতায় বসাতে চায়। বাম দলগুলোকে এক হয়ে দেশকে রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়ে সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘অরাজনৈতিক শক্তি যাতে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে না পারে, সে জন্য দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানাই।’
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘১০ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় এবং ঐক্য গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এ ছাড়াও ২০ থেকে ২৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে।
সভাপতির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘জনজীবনের সংকট নিরসন এবং জানমালের নিরাপত্তায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করুন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। সংস্কারের কথা শব্দ চয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বিজয়ের পর পরাজিত শক্তিসহ নানা অপশক্তি নানা যড়যন্ত্রে সক্রিয় হয়েছে। তাদের পরাজিত করে গণতন্ত্রের যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে সারা দেশ থেকে সিপিবির নেতা-কর্মীরা যুক্ত হয়েছেন। সমাবেশ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে লাল পতাকা মিছিল বের করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শাহবাগ হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টনে এসে শেষ হয়।