হোম > রাজনীতি

বাগ্‌বিতণ্ডা হলে কি সবাই স্ট্রোকে মারা যায়, কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগ্‌বিতণ্ডা হওয়ার পর সবাই স্ট্রোক করে মারা যায় কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়ার আগে একটি পক্ষকে দায়ী করা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।  

সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আজ রোববার সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন তথ্যমন্ত্রী। সেখানে কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি। 

কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার দেখা করে আসার পর বাসায় ফিরে মারা যান অধ্যাপক সেলিম। অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সেজান এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাকেসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। আমি মনে করি এর সুষ্ঠু তদন্ত হবে, তদন্তে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে তার কোনো রোগ ছিল কিনা, হার্ট ডিজিজ ছিল কিনা, অন্য কোনো রোগ ছিল কিনা। যে অভিযোগ এসেছে, তার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে, এরপর তিনি বাসায় গিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে মারা গেছেন। সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে হার্ট অ্যাটাক না স্ট্রোক। 

মন্ত্রী বলেন,  ‘অভিযোগ যেহেতু এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকজন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। যদি কেউ দায়ী হয়, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই সরকার আইন অনুযায়ী যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু কারও যদি বাগ্‌বিতণ্ডার পর হার্ট অ্যাটাকে বা স্ট্রোকে মৃত্যু হয় সে জন্য তদন্ত হওয়ার আগে, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উদ্‌ঘাটিত হওয়ার আগে সেই বাকবিতণ্ডাকেই দায়ী করা সেটি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্নও থেকে যায়। বাগ্‌বিতণ্ডা নানাজনের সঙ্গে হয় এবং সবাই কি এরপরে স্ট্রোকে মারা যায়? তাতো নয়। তাঁর অন্যান্য রোগ ছিল কিনা, কি কারণে আসলে হয়েছে। সত্যি সত্যি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাঁর ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে সেটি হয়েছে তাহলে অবশ্যই দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি হবে। কিন্তু সেটি হওয়ার আগে একটি পক্ষকে দায়ী করা হচ্ছে সেটি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্নও অনেকে করেছেন।’ 

সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে বিরোধ নেই, চলতে পারে একসঙ্গে: মির্জা ফখরুল

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি’ চলছে, একাত্তরের মতো ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ছাত্রদল

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়

মধ্যরাতে ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু ও সিরাজ সিকদারের ছবি মুছল কারা

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

দু-এক দিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সিদ্ধান্ত

শনিবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ করবে ছাত্রদল

সংসদে কোনো নারী কোটা থাকা যাবে না: মুফতি ফয়জুল করীম

আ.লীগ উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে: রিজভী

তরুণ প্রজন্মের শক্তিতে বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে যাবে: মির্জা ফখরুল

সেকশন