নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনীতি যখন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে, তখন নীতির প্রশ্নে আপসহীন থেকে শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মানুষ ও প্রকৃতির মুক্তিতে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। ক্ষমতায় গেলে দলটি দেশের মানুষের সব অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
বুধবার (৬ মার্চ) দলের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও সব মানুষের ভোটাধিকার গণতন্ত্র, কাজ, শিক্ষা, চিকিৎসার অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে কমিউনিস্ট পার্টি। এ পর্যন্ত যারা পালাক্রমে শাসনক্ষমতায় ছিল এবং আছে তারা মেহনতি মানুষকে অমর্যাদায় রেখেছে। সমভোটের অধিকারের কথা থাকলেও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।’ এ সময় তিনি নীতিহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির পতাকাতলে সমবেত হতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রিন্স বলেন, ‘বামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে মানুষের মর্যাদা, সম্পদের সুষম বণ্টন, সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, কাজ ও নতুন প্রজন্মের সামনে সবার উপযোগী বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃশ্যমান কাজ করবে।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিনা ভোটে নির্বাচিতরা কখনোই জনগণের স্বার্থে কাজ করবে না। তাদের জবাবদিহি থাকবে না। স্বচ্ছতা থাকবে না। তাই মেহনতি মানুষকে নিজেদের দাবি নিয়ে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে শরিক হতে হবে।’
সমাবেশে দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টিই একমাত্র জনগণের পক্ষের শক্তি এবং প্রকৃত বিরোধী দল। নীতির প্রশ্নে একমাত্র আমরাই সরকারের বিরোধিতা করি এবং জনগণের পক্ষে কথা বলি। এখন রাজনীতি দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দী। এরাই পালাক্রমে ক্ষমতা দখল করে আছে। এদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, দিলকুশা, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে গণসংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা।
রাজধানী ছাড়াও ৭৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সারা দেশের জেলা, উপজেলা ও থানায় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সমাবেশ-শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।