বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসের ভেতরে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা।
আবু হোরায়রা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। প্রত্যেক নাগরিক তাঁর পছন্দমতো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তাঁর রাজনৈতিক ভাবনার বিস্তার ঘটাতে পারবেন। সংবিধান সেই ক্ষমতা নাগরিককে দিয়েছে। সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র নাগরিকদের এই অধিকার নিশ্চিতকরণের কথা বলেছে। সংবিধানের-৩৯ নং অনুচ্ছেদে জনগণের চিন্তা-বিবেক, বাক্স্বাধীনতা এবং ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। ইউজিসির নীতিমালায় ছাত্রসংগঠন করা যাবে না, এমন কিছু বলা হয়নি। ২০১০ সালে ইউজিসির নীতিমালা পরিবর্তনের পরও সেখানে ছাত্রসংগঠন করা যাবে না এমন কিছু বলা হয়নি।’
বৈশ্বিক রাজনীতিতে টিকে থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মেধাভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি চর্চার বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম রাজনৈতিকভাবে অসচেতন হলে, দেশে দূর্নীতি, লুটপাট, ভয়ের সংস্কৃতি, বিচারহীনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির অভাবে দেশ একসময় বিদেশি প্রভুনির্ভর অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রা বিশ্ববিদ্যালয় মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্রসংগঠনের নেতাদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনীতি করা ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার। কোনো প্রতিষ্ঠান সেটি নিষিদ্ধ করতে পারে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর আলোচনায় না বসলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো ও রিট করার হুঁশিয়ারি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের বর্তমান সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।