সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বর্তমান সরকার সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন ও সংসদ সাংবিধানিকভাবে অবৈধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আগের সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ করা সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে, ‘বর্তমান সংসদের মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, নতুন নির্বাচিতরা সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।’ অথচ দেখা গেল আগের সংসদ সদস্যরা মেয়াদ শেষ করার আগেই নতুন নির্বাচিতরা শপথ নিলেন।
আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল শুধু আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে হওয়া একটা প্রহসনের নির্বাচন।
বাংলাদেশে এখন ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য আছেন উল্লেখ করে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, সাংবিধানিক বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে আইনমন্ত্রী বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তাঁরা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে এমপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় যে আনিসুল হক আইনমন্ত্রী হিসেবে যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা কি আগের সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে, নাকি বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে?
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় এবং প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক।