অবিলম্বে সুষ্ঠুভাবে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা করলে সরকারের জন্য তা ভালো হবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক প্রচারপত্র বিতরণকালে তিনি এই হুশিয়ারি দেন।
জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে— দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কিন্তু সংস্কারের নামে যদি নির্বাচন বিলম্ব করা হয়, তাহলে মানুষ আপনাদের সন্দেহ করবে।’
সরকারকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘কি এমন ঘটনা আছে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পারছেন না। এটা যদি তাঁরা (অন্তর্বর্তী সরকার) যদি ঘোষণা না দেন, সময়ের কথা না বলেন, তাহলে তো মানুষ ভিন্নভাবে দেখবে। জনগণ কবে পছন্দের দলকে ভোট দেবে। এটা কেন পরিষ্কার করছেন না।’
সরকারের গতিবিধি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোথায় যেন ঢিলেঢালা ভাব, এইভাবে চলবে না। আমি শুধু বলে রাখতে চাই, আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে কারো যদি অশুভ উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে আমরা আন্দোলনি ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদের শোনাব। যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে, তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের বাক্য শোনাব।’
রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণ সবার সমর্থনের সরকার। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো কুলাঙ্গার যেন প্রত্যাবর্তন না হয়, এটাই জনগণ চেয়েছে। আজকের সরকারের মধ্যে কেউ কেউ একচোখা দৃষ্টিতে দেখে।
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে তাঁর বক্তব্যে ইচ্ছে করে ভাইরাল করে দেন। তিনি ভারতে আছেন। নিজেই লোক দিয়ে বক্তব্যে ভাইরাল করান। আর তাঁর দলের নেতা ও তার পুলিশ প্রশাসনের কাউকে বিদেশে ঘুরতে, হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। তারপরও যারা দেশে আছে তাঁদের হাতে তো বিএনপির নেতারাই খুন হচ্ছে। মূলত হত্যার নির্দেশ তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরও দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে দিদার হত্যা, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রকে হত্যা, এগুলো অশুভ ইঙ্গিত, শেখ হাসিনার আরেকটা ভয়ংকর পরিকল্পনা। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। অন্তবর্তী সরকার যদি শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ান, তাহলে কিন্তু কোনো সংস্কার করতে পারবেন না। কারণ এখনো শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা পুলিশ প্রশাসন বহাল আছে।’
প্রচারপত্র বিতরণের এই কর্মসূচিতে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে অংশ নেন।