রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বুধবার পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
এর আগে মাইক্রোবাসে করে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ডে নেওয়ার জন্য কোনো আবেদন না থাকায় বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতাকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়নি। আদালতের হাজতখানায় তাঁদের রাখা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর পুলিশ কারাগারের উদ্দেশে তাঁদের নিয়ে যায়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে আজ শুক্রবার দুপুর ২টার পর সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, একই মামলায় রিজভী আহমেদসহ ৪৩৪ জনকে গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়া হয় ১৪ জন নেতা-কর্মীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: