জ্বালানি তেলের দাম সহনীয় মাত্রায় বাড়ানোর কথা বলে রাতের বেলায় পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম প্রায় ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক এবং জনগণের প্রতি সংবেদনহীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো।
আজ শনিবার দলটির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে দলটির পলিটব্যুরো জানায়, মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে ত্রাহি অবস্থা; তার ওপর এই মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে কঠিন সংকট তৈরি করবে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাত পড়বে কৃষি, পরিবহন ও দৈনন্দিন জীবনে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল কমার সময় মূল্য বৃদ্ধি কার স্বার্থে করা হচ্ছে— এ প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা। তাঁদের দাবি, সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে যে ঋণ চাইছে তাদের সেই শর্ত পূরণের জন্যই জ্বালানি খাতের ভর্তুকি প্রত্যাহারের কৌশলী ব্যবস্থা হিসেবে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে জনগণের ওপর দায় চাপানো হলো।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ‘অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই দাম কিছুটা সমন্বয় করা এবং প্রতিবেশী দেশে তেল পাচারের আশঙ্কার’ যে কল্পিত গল্প সাজানো হয়েছে, তা জনগণকে বিভ্রান্ত করার নামান্তর বলে মন্তব্য করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
দেশের মুদ্রা ঘাটতি সমন্বয় করতে গিয়ে, দাতা গোষ্ঠীর শর্ত বাস্তবায়নে জনগণের ওপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো বিবেচনাপ্রসূত নয় এবং জ্বালানি খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও অপচয় রোধ করে ঘাটতি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করে দলটি। সমন্বয়ের নামে জ্বালানি তেলের অচিন্তনীয় ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
জ্বালানি তেল সম্পর্কিত আরও পড়ুন: