বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স। এ জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন তিনি। আজ রোববার কার্যালয় ঘুরে এসে সাংবাদিকেদের প্রিন্স বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যে তাণ্ডব লীলা চালানো হয়েছে, তা দেখে আমরা হতভম্ব।’
বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল উল্লেখ করে সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স বলেন, ‘যে দল দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছে সংগ্রাম করছে, সেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের দপ্তর লন্ড লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। সারা বাংলাদেশ সরকার যেভাবে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে, ঠিক একইভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় লন্ড লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।’
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই কাজে যারা নিয়োজিত ছিল, তাদের দোষী সাব্যস্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপির সহযোগী সংগঠনের দপ্তরের কম্পিউটার সিপিইউ এবং সদস্যদের মাসিক চাঁদার টাকা রাখার আলমারি ভেঙে পুলিশ সবকিছু নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রিন্স আরও বলেন, ‘সরকার ভীত হয়ে আমাদের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে নস্যাৎ করার জন্য এই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। কিন্তু দেশের জনগণ এত প্রতিবন্ধকতার পরেও গণসমাবেশ সফল করার মধ্য দিয়ে এই সরকারকে চপেটাঘাত দিয়েছে।’
পল্টনে সমাবেশ করতে না পারায় বিএনপির পরাজয় হয়েছে—আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যে জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির পরাজয় নয়, সরকারের পরাজয় হয়েছে।’