নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘যাদের নেতৃত্বে এই বিজয় তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। সামনের দিনে আমাদের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তাদের লড়াইয়ের মূল আকাঙ্ক্ষাটা যেন আমরা ধারণ করতে পারি। ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ বঞ্চনার শিকার হয়ে আবার বিদ্রোহী হয়ে উঠতে না পারে। রাজনৈতিক নেতা–কর্মী আমরা যারা আছি আমাদের এটা করতে হবে। ছাত্র-জনতা যে কারণে আন্দোলন করছে তা বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘রক্তভেজা গণ-অভ্যুত্থান–গণ আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সময় সমাজের সব শ্রেণির মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এটি থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে সমাজের সবাই অংশগ্রহণ করছেন। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটেছে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মাধ্যমে। গত ১৬ বছরে যারা নানাভাবে অত্যাচারিত হয়েছে তারা সবাই আন্দোলনেরই অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা লড়াই সংগ্রাম করেছি, এত জীবন যারা দিল, তাঁদের উত্তরাধিকারী হিসেবে আমাদের নিজেদের এত শক্তিশালী করতে হবে–যাতে করে যেই সরকারে যাক, সে যা কিছু করবে, আমাকে জিজ্ঞাসা করে করতে হবে। যে কি হলে আমি খুশি হব। আজকে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সফলতা কামনা করি।’