রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ১২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে তাঁর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
গত ১১ মার্চ শাহবাগে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিক্ষোভ করছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের হাতাহাতি হয়। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় ১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন এবং পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা জানান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তাঁর পক্ষ থেকে বিবৃতিটি পাঠান।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশজুড়ে নারী নিপীড়ন, হয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং পরে ১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিশেষ করে গভীর রাতে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে তাঁর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা আন্দোলনকারীদের দমন না করে তাঁদের সহযোগিতা করা উচিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’