উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তাঁকে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা করেন তিনি।
সাদের স্ত্রী মাহিমা এরশাদও তাঁদের সঙ্গে গেছেন বলে জানা গেছে।
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে সাদ এরশাদ জানান, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে রওশন এরশাদের চিকিৎসা করানো হবে। রওশন আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন বলে তিনি জানান।
ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন ৭৮ বছর বয়সী রওশন এরশাদ। শারীরিক অবস্থার উন্নতি-অবনতির মধ্য দিয়ে প্রায় তিন মাস ধরে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শুরুতে বেশ কিছুদিন তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে আনা হয় তাঁকে। গত ২০ অক্টোবর অবস্থার অবনতি হলে আবারও আইসিইউতে নেওয়া হয় তাঁকে। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এতদিন সেটা সম্ভব হয়নি।
জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার সালোয়ার জালালী বলেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই চিকিৎসকেরা রওশন এরশাদকে দেশের বাইরে নিতে বলছিলেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, বাইরে নেওয়ার মত অবস্থা ছিল না। তবে কয়েক দিন ধরে তাঁর শরীর আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো। তিনি এখন কথাও বলতে পারছেন। যে কারণে চিকিৎসকেরা তাঁকে বিদেশে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
রওশন এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী মামুন হাসান জানান, শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে সিএমএইচ থেকে শাহজালাল বিমান বন্দরে নেওয়া হয় রওশন এরশাদকে। এ সময় তিনি তাঁর ছেলে সাদ এরশাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর হাত ধরেন। সাদ এরশাদ ও তাঁর স্ত্রীও রওশনের সঙ্গে ব্যাংকক গেছেন বলে জানান মামুন।