হোম > রাজনীতি

সরকার জনগণের দুরবস্থা লাঘবের কোনো চেষ্টা করছে না: সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টিসিবির গাড়ি ও দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি, স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, ঈদের আগে সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-বকেয়া-বোনাস পরিশোধ এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের দাবিতে পল্টন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। আজ শনিবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সিপিবির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, একই দাবিতে আজ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা-ইউনিয়নে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

দেশে আধা পেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে দাবি করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজকে বাজারের কি অবস্থা? মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও নাগালের বাইরে চলে গেছে। দাম বাড়ছে কিন্তু সাধারণ মানুষের বেতন-মজুরি তো বাড়ছে না। উল্টো অনেকের আয় কমে গেছে। আয় কমে যাওয়ায় আর নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ সংকটে। এসব মানুষকে বাঁচাতে সারা দেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে। শ্রমিকদের পুরো মাসের বেতন দিতে হবে। 

মানুষের দুরবস্থা দূর করতে হলে পুরো ব্যবস্থার বদল করতে হবে জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধ্যস্বত্বভোগী চক্র ভাঙতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা এবং ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দ্রব্যমূল্য কমানোসহ এসব দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এবং অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু সরকার জনগণের এই দুরবস্থা লাঘবের কোনো চেষ্টা তো করছেই না বরং জেলায় জেলায় আমাদের কর্মসূচিতে সরকারি দল এবং পুলিশ বাধা দিচ্ছে। এ সময় তিনি চলমান অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান। 

অবস্থানে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ ও সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেন, বাজার আজ মধ্যস্বত্বভোগী এবং সিন্ডিকেটের দখলে। সরকারের সে বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এদের ওপর ভরসা করেই সরকার টিকে আছে। এই মধ্যস্বত্বভোগী এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

অবস্থানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আইনজীবী আনোয়ার হোসেন রেজা ও শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনসহ প্রমুখ। অবস্থান শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে আবার পল্টনে এসে শেষ হয়। উল্লেখ ৪ দফা দাবিতে ১৫-১৭ এপ্রিল দেশব্যাপী সমাবেশ-বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি’ চলছে, একাত্তরের মতো ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ছাত্রদল

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়

মধ্যরাতে ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু ও সিরাজ সিকদারের ছবি মুছল কারা

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

দু-এক দিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সিদ্ধান্ত

শনিবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ করবে ছাত্রদল

সংসদে কোনো নারী কোটা থাকা যাবে না: মুফতি ফয়জুল করীম

আ.লীগ উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে: রিজভী

তরুণ প্রজন্মের শক্তিতে বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে যাবে: মির্জা ফখরুল

এক–দুই দিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত

সেকশন