নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনীতি করেছেন এমন কাউকেই নির্বাচন কমিশনে যাতে নিয়োগ না দেওয়া হয় সেই দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির কাছে নাম জমা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে তিনজন এবং নির্বাচন কমিশনার পদে তিনজনের নাম জমা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সাবেক সচিবের নাম প্রস্তাব করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এমন মানুষদের নিয়ে গঠন করা দরকার, যারা প্রকৃতপক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। আমরা চাই না, এমন কোনো মানুষদের নিয়ে এই কমিশন গঠন করা হোক, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে কাজ করে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা চাই, কমিশন এমন মানুষদের নিয়ে গঠিত হোক যারা প্রকৃতপক্ষে এই নতুন বাংলাদেশে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবে। হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে—এমন একটি বাংলাদেশ দেখার জন্য যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্র বারবার শুধু নির্বাচন কমিশনের কারণেই হোঁচট খেয়েছে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করেন, কোনো দলের রাজনীতি করেছেন, এমন কোনো ব্যক্তিকে এই কমিশনে যাতে নিয়োগ না দেওয়া হয়। অতীতে ছাত্র রাজনীতি করেছেন, এমন কোনো ব্যক্তিকেও এই কমিশনে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।’
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে ন্যূনতম আঁতাত ছিল এবং আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত ছিল এ রকম কোনো আমলাকেও যেন কমিশনে নিয়োগ না দেওয়া হয়—সেই দাবিও জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘অতীতে আমরা শুধুমাত্র আমলাকেন্দ্রিক নির্বাচন কমিশন দেখেছি, এবার আমরা সেটি চাই না। আমরা চাই এই কমিশনে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে নিয়োগ দিতে হবে।’