আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। আর জেনারেল সেক্রেটারি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তাঁরা আগামী তিন বছরের জন্য দলের দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করে দলটির অভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিশন।
গতকাল শুক্রবার সারা দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ হয়। সারা দেশের কাউন্সিলররা সেখানে ভোট দেন। অনলাইনে ভোট দিয়েছেন দলের প্রবাসী ও অসুস্থ কাউন্সিলররা।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম।
মোট ২ হাজার ৮০৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১ হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে ৪৫টি ভোট বাতিল হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী পেয়েছেন ২১১ ভোট আর দিদারুল আলম পেয়েছেন ৩৩ ভোট।
এর আগে গতকাল চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণের পর রাতে জেনারেল সেক্রেটারি পদে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভোটার ছিলেন গত মাসের শেষে নির্বাচিত এবি পার্টির নির্বাহী কমিটির ২১ সদস্য। তবে জেনারেল সেক্রেটারি পদে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। কাউন্সিলে চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি পদের ফল ঘোষণার পাশাপাশি ২১ জন নির্বাহী পরিষদ সদস্যেরও নাম ঘোষণা করা হয়।
উদ্বোধনের পর স্বাগত বক্তব্য দেন এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। তিনি বলেন, ‘আজকের কাউন্সিলে উপস্থিত নেতা-কর্মী, ভাই ও বোনেরাই আমাদের দলকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।’
কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, এলডিপির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, শহীদ নাজমুল কাজীর স্ত্রী মারিয়া সুলতানা রাখিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।