আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ কেন হলো না, আওয়ামী লীগ কেন পারল না; তার দায় আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এর কারণ খুঁজে দেখতে হবে।
আজ রোববার বনানী কবরস্থানে পঁচাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যার মঞ্চে যারা ছিলেন তাদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। খুনিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। যারা পলাতক, তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
কাদের বলেন, কিন্তু নেপথ্যের কুশীলব যারা তাদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে কোনো কিছুতেই অন্ধকারে রাখা যাবে না। সে জন্য তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা উচিত।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানানোর পর সকাল পৌনে ৭টায় ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, তদন্ত কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্টের নেপথ্য খলনায়কদের স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে।
বনানীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।