যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে একঘরে করবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এক যৌথ সভায় অংশ নেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দায়িত্বহীনভাবে ছয় দেশের কূটনীতিকদের অতিরিক্ত প্রটোকল প্রত্যাহার করেছে সরকার। এতে সংকট সৃষ্টি হবে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষতি করবে। এটা সুখকর কিছু বয়ে আনবে না।’
মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রটোকলের জন্য আনসার বাহিনী থেকে একটি প্রটোকল ইউনিট করা হয়েছে। ওই ইউনিট যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সব কূটনীতিকেরও প্রটোকল দেবেন বলে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান।
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কূটনীতিকদের পুলিশ প্রটোকল দেওয়া হতো। নতুন প্রটোকল ইউনিট হওয়ায় কূটনীতিকদের প্রটোকল থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হলো। আনসার সদস্যরাই তাদের প্রটোকল দেবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে উপযুক্ত প্রটোকল না পেয়ে এর প্রতিশোধ হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের সুবিধা (বাড়তি প্রটোকল) প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। সরকার শঙ্কিত হয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করছে। ত্রিদেশীয় সফরের পর প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।’
সংসদ থেকে বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ করা সঠিক নাকি ভুল ছিল—প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সংসদ থেকে বের হয়ে আসা বিএনপির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সঠিক ছিল। আর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ কী করবে, এটা নিয়ে ভাবছে না বিএনপি।’
