বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, নেতা-কর্মীদের বদনাম আর অপকর্মের কারণে দলের ভোট কমে যাচ্ছে। এ জন্য তাঁদের স্কুল-মসজিদ কমিটি কিংবা বাজার-ঘাটের ইজারায় যাওয়া যাবে না।
আজ রোববার বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত মহানগরসহ ছয় জেলার নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় টিম প্রধান আবদুল আউয়াল মিন্টু। সভার মূল লক্ষ্য ছিল, স্থানীয় নেতাদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে দেওয়া।
মতবিনিময়কালে নেতারা বলেন, দল এখনো ক্ষমতায় আসেনি। দলকে শক্তিশালী করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সামনে কঠিন সময়। আগামী দিনে নির্বাচন হলেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আবার আন্দোলন-সংগ্রামেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। অন্য সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষে অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান।
এ সময় মজিবর রহমান সরোয়ার কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
রাজিব আহসান বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার আমাদের অঙ্গসংগঠনকে কেবল শাসান। আপনারা অভিভাবক হয়ে যখন অপকর্ম করেন, তখন অঙ্গসংগঠনের নেতারা সেদিকেই ধাবিত হন।’
সভার প্রধান অতিথি আবদুল আউয়াল মিন্টু নেতাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সতর্ক করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান শহীদুল্লাহ ও ভোলা জেলা আহ্বায়ক আলমগীর নবী বক্তব্য দেন।
এ ব্যাপারে কথা হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘কুচক্রী মহল নেতা-কর্মীদের ভুল পথে নিচ্ছে। এ জন্য আমরা তৃণমূল পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের সাবধান করছি। নেতাদের বলা হয়েছে, চাপ দিয়ে কোনো ধরনের কমিটিতে আসা যাবে না। আমরা নেতা-কর্মীদের স্পষ্ট করে বলেছি, আওয়ামী লীগ যে ভাষায় কথা বলেছে, বিএনপির নেতা-কর্মীদের সে ভাষায় কথা বলা যাবে না। জনগণের পাশে থাকতে হবে।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের অপকর্ম এবং বদনাম ছোটখাটো দাবি করে এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য সাংবাদিকেরা কেবল খারাপটাই তুলে ধরেন।