হোম > রাজনীতি

নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কারকে বৈধতা দিতে পারব না: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সংস্কার অবশ্যই লাগবে। কিন্তু সেই সংস্কারের জন্য পেছনে যে শক্তিটা লাগবে—সেটা হচ্ছে নির্বাচিত সংসদ, নির্বাচিত সরকার। এটা ছাড়া সংস্কারকে আমরা কখনো বৈধতা দিতে পারব না।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘রাজবন্দীর জবানবন্দি’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম এ সব কথা বলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিকে উপজীব্য করে এই বই সম্পাদনা করেছেন প্রয়াত অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।

সংস্কার নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টির অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি না, কিছু মানুষ একেবারেই যেন ডেসপারেট হয়ে গেছেন, তাঁরা দেশকে ভাগ করবেন, জনগণকে বিভক্ত করবেন এবং বিভিন্ন রকম বিভক্তিমূলক কথা বলছেন, উসকানি দিচ্ছেন। আপনারা দয়া করে এ পথে যাবেন না। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা যে যেখানে কাজ করছেন, সবাইকে অনুরোধ করব—বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’

দেশকে বাঁচানোর জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্য—এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানাব, দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদের, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, বিভাজিত হবেন না।’

ক্ষমতায় টিকে থাকার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনার (শেখ হাসিনা) পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানি নিজেদের পুরো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছি না, ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না। কী দুর্ভাগ্য, এখন যেটা শুরু হয়েছে, এটাকে আমি মনে করি সুস্থ ব্যাপার নয়, একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।’

এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি ও ১৯ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘১৯ দফা কর্মসূচি ছিল সবচেয়ে বড় সংস্কারের কর্মসূচি। আমরা এ জিনিসগুলো কেউ বলি না। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা এ জিনিসগুলো সামনে আনবেন না। কারণ, এ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁদের অনেকে অর্জন করতে পারেননি।’

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতিহাসের কী অমোঘ বিধান, আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন এবং গেলেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিয়ে। তাঁকে পথে পথে লাখ লাখ মানুষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভালোবাসা থেকে। আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে সম্মানটা পেয়েছেন, কোথাও বাধা পেতে হয়নি আমাদের। আমরা যেখানেই বলেছি, এটা আমাদের দরকার, সঙ্গে সঙ্গে করে দিয়েছে। ভিসা দিয়েছে। ম্যাডামকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাঁরা কোনো ভাড়া না নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন এবং খুব দ্রুত দিয়েছেন। আমি ধন্যবাদ জানাই ব্রিটিশ সরকারকে। তাঁরা যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব মুক্ত হবেন কিছুদিনের মধ্যে, পুরোপুরি সব মামলা থেকে (মুক্ত হয়ে) তিনিও আমাদের মধ্যে উপস্থিত হবেন।’

খালেদা জিয়া ক্ষমতার প্রলোভনে রাজনীতিতে আসেননি—মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি যখন রাজনীতিতে এসেছিলেন, তখন তাঁর সামনে প্রধানমন্ত্রিত্বের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। তিনি এসেছিলেন স্বৈরাচারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সচিব ইসমাঈল জবিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির নেতা শহীদুল ইসলাম।

নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য যমুনায় ডাক পেল বিএনপি

আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিলের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিইনি: সালাহউদ্দিন

ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে ড. ইউনূসকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সংহতি র‍্যালি করবে বিএনপি

‘অতি গোপনীয়’ অভিযোগ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস

পদত্যাগ করে ছাত্রদের দলের দায়িত্ব নিন: প্রধান উপদেষ্টাকে দুদু

নিবন্ধন পেল সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক দল বিএমজেপি, প্রতীক রকেট

নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবে বিএনপি

আরও ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি: বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান

গতকাল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলায় সরকারের ব্যর্থতা লক্ষণীয়: সালাহউদ্দিন