সাক্ষাৎকার

শেখ হাসিনাকে মদদ দিলে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা কঠিন হবে: গয়েশ্বর

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় দেশটির ওপর নাখোশ হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। এমনটাই উঠে এসেছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কথায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গয়েশ্বর রায় শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয়, বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন। 

বিএনপিকে ভারতবিরোধী বলে তুলে ধরা হয়—এমন ধারণা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক সহযোগিতা থাকতে হবে...ভারত সরকারকে বিষয়টি অনুধাবন করে সেই চেতনা অনুসারে আচরণ করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষকে মদদ দেন, তাহলে সেই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিকে সম্মান করা কঠিন হয়ে পড়ে।’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (হাসিনা সরকারের) গত নির্বাচনের আগে বলেছিলেন যে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরাতে ভারত সাহায্য করবে। তাহলে শেখ হাসিনার দায়বদ্ধতা তো ভারতের কাছে...ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের একে অপরের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই।’ তাহলে ভারত কি কেবল একটি দলকেই সমর্থন করবে, পুরো দেশকে নয়—পাল্টা প্রশ্ন রাখেন গয়েশ্বর রায়। 

হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার খবর এবং বিএনপিকে সংখ্যালঘুবিরোধী বলে উল্লেখ করার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হিন্দুবিরোধী—এমন একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে গঠিত এবং সব ধর্মের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আমি এই দলের শাসনামলে মন্ত্রী হয়েছি এবং সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ফোরামে যথেষ্ট উচ্চ স্থান পেয়েছি। বিএনপি একটি জাতীয়তাবাদী দল, কিন্তু আমরা সব সম্প্রদায়ের ব্যক্তি অধিকারে বিশ্বাস করি।’ 

গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, ‘আমি যখন ১৯৯১ সালে মন্ত্রী ছিলাম, তখন দুর্গাপূজার জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা শুরু করেছিলাম এবং কোনো সরকারই এই নীতি বন্ধ করেনি। এটি এখনো চলছে। এটা আমাদের দলের সরকারই করেছে।’ 

বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করা সন্ত্রাসবাদীদের উদ্বেগের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটাও একটা ধারণা, যা সত্য নয়। ভারত আমাদের স্বাধীনতা পেতে সাহায্য করেছে...আমরা ভারতের বিরুদ্ধে যেতে পারি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ছোট দেশ, চিকিৎসাসহ আমাদের জনগণের জন্য এবং অন্য অনেক কিছুর জন্য ভারতকে প্রয়োজন। তবে এসব খাতে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ভারত যে রাজস্ব আয় করে, তাও খুব সামান্য নয়।’ 

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির সমীকরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গয়েশ্বর রায় স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা কোনো আদর্শিক সম্পর্ক নয়। এটি কৌশলগত সমর্থন, যা নির্বাচনী রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক জোটে ছিল। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। বাম ছিল, ডান ছিল, কিন্তু আমাদের সঙ্গে জামায়াত ছিল না।’ 

জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এরপর শেখ হাসিনা জামায়াতকে আমলে নিলেন। পরে তিনি জামায়াতকে মোকাবিলা করতে হেফাজতে ইসলাম তৈরি করেন। আজ একই হেফাজত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘জামায়াত নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।’ 

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যেহেতু ছাত্ররা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতা ও একটি অরাজনৈতিক সরকারকে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে চেয়েছিল, তাই বিএনপি থেকে কোনো নাম প্রস্তাব করা হয়নি।’ 

টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

ওসমান হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের গভীর শোক

জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল: জামায়াত আমির

ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাপার আনিসুল ও রুহুল আমিনের গভীর শোক

ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

রাতের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় ছাত্রশক্তি

২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবেন তারেক রহমান, সংবর্ধনা বিমানবন্দর ও এভারকেয়ারের কাছাকাছি

সরকার নির্বাচনের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে কি না, তার গ্যারান্টি নেই: মান্না

ভারতের অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে: জামায়াত

সব জুলাই যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি: সামান্তা শারমিন

নির্বাচন ও ওসমান হাদির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের জরুরি সভা