নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত কয়েক দিনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ, তাঁদের উপাসনালয় ভাঙচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ রাজনৈতিক দল সমূহের অফিস ভাঙচুর-দখল, পুলিশ হত্যা, থানা লুট ও অগ্নিসংযোগ, কারাগার ভেঙে বন্দীদের পলায়নসহ ঘটনাবলি ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ের চিত্রকে ম্লান করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
আজ রোববার বিকেলে দলটির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। দলটির পলিটব্যুরোর সভায় এসব কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সভায় বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রত্যাশিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। বিগত সরকারের শাসন অবসানের পর দেশের যে নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে এই সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটবে বলে দেশবাসী আশা করে। কিন্তু, সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, গত কয়েক দিনে বিশেষ করে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ, তাঁদের উপাসনালয় ভাঙচুর, জমি-জিরাত-বাসাবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ রাজনৈতিক দল সমূহের অফিস ভাঙচুর-দখল, আন্দোলন চলাকালীন সময়ের মতো প্রায় সমপরিমাণ মানুষের মৃত্যু, পুলিশ হত্যা, থানা লুট ও অগ্নিসংযোগ, কারাগার ভেঙে বন্দীদের পলায়নসহ ঘটনাবলি ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ের চিত্রকেই স্নান করে দিয়েছে।
এ সকল কার্যক্রম ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষিত চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় উল্লেখ করে বৈঠকে আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্থাপনাসমূহ যথা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামে অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরালের ধ্বংস সাধন, মুজিবনগরের স্মৃতিসৌধে ধ্বংস সাধন, বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য বিনষ্ট করা, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার দিককেই নির্দেশ করে এবং অতীতের পুনরাবৃত্তির কথাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানের মূল প্রতিশ্রুতি পালনে প্রতিশ্রুত ভূমিকা রাখবে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, বহুত্ববাদী সমাজ গঠন, বিশেষ করে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমাজে দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, বাজার সিন্ডিকেটের অনাচার রোধ করতে আন্দোলনকালীন সময়ের মতোই দৃঢ় ভূমিকা রাখবে।