নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতন এবং পরবর্তীতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সময় দিতে রাজি আছে বিএনপি।
আজ প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ বৈঠকে অংশ নেন।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে চান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর অংশ হিসেবে প্রথমে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ সরকার অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু কোনো হত্যাকারীর সঙ্গে নয়। যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে, শিশুদের হত্যা করেছে, রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণ আছে।’ তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেন সরকার কোনো আলোচনায় না বসে।
বৈঠকের আলোচনার বিষয় জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কী করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের মতামত দিয়েছি। তাঁদের চিন্তাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই সরকারকে সহায়তা করা দেশের প্রতিটি দেশ প্রেমিক মানুষের কর্তব্য।’
নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি। আমরা আগেও বলেছি, নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবে। সেই সময়টা আমরা অবশ্যই তাঁদের দিয়েছি। আমরা তাঁদের সব বিষয়গুলোকে সমর্থন দিয়েছি।’
বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন— দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।