বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে বিশেষ মর্যাদা বা ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বিষয়টি আদালতকে জানান। তিনি বলেন, ‘তাঁদের ডিভিশন দেওয়ার জন্য গত ৯ ডিসেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদেশ দিয়েছেন। আজ থেকে তাঁদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে।’ পরে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহামদ আলীর বেঞ্চ আদেশের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস তাঁদের জন্য ডিভিশন চেয়ে রিট করেন। পরে তা শুনানির জন্য বিকেল সাড়ে ৩টায় দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির প্রধান বলেন, ‘পুলিশের ওপর বর্বরোচিত যে হামলা হয়েছে, ককটেল নিক্ষেপ হয়েছে এবং অনেক জানমালের ক্ষতি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছি।’
প্রসঙ্গত, একই মামলায় রিজভী আহমেদসহ ৪৩৪ জনকে গত বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়া হয় ১৪ জন নেতা-কর্মীকে। রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।