বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
দীর্ঘ ২৬ মাস পরে বৃহৎ পরিসরে এবারই প্রথম ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে অংশ নিতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের করোনা টেস্ট করা হয়েছে গত শুক্রবার। টেস্টে যাঁদের ফল নেগেটিভ এসেছে কেবল তাঁরাই বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন। তবে বেশির ভাগ নেতারই করোনা নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে দলীয় একটি সূত্রে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে ২০২০ সালের মার্চে দলটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুইবার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও তাতে সীমিতসংখ্যক নেতা উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ, গত বছরের ১৯ নভেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সম্মেলন ও সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা হবে বলে ধারণা করছেন নেতা-কর্মীরা। নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ ছাড়া, দলের জাতীয় সম্মেলন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। জাতীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা হবে। সাংগঠনিক সম্পাদকেরা তাঁদের সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি, দলীয় কোন্দল এবং তার সমাধান নিয়েও বৈঠকে কথা বলবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা শাখার নেতাদের অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশের বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা জানান, মূল দলের সম্মেলনের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হবে। বিশেষ করে যেসব সহযোগী সংগঠনের কমিটির মেয়াদ শেষ, সেসব সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
এ ছাড়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন নিয়েও কথা হবে বৈঠকে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচন সমন্বয় টিমও গঠন হতে পারে।