নেদারল্যান্ডসে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে বয়সের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিলেন এক নারী। ১১৫ বছর ৭ মাস বেঁচেছিলেন তিনি। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ১১৪ বছর এক মাস।
গত ৩০ বছরে নেদারল্যান্ডসে মারা যাওয়া ৭৫ হাজার মানুষের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ বয়সসীমার ওই তথ্যটি সংগ্রহ করেছিলেন দেশটির টিলবার্গ এবং রটারডামের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যানবিদরা।
গবেষণাটি পরিচালনা করা তিন বিজ্ঞানীর একজন অধ্যাপক জন এইনমাহল। মেডিকেল এক্সপ্রেস নামে একটি জার্নালে তিনি উদ্ধৃতি করেন, ‘মানুষের গড় বয়স বেড়েছে। তবুও সর্বোচ্চ বয়সসীমায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
গবেষণাটির বিষয়বস্তু আসলে মানুষ কত বছর বাঁচার আশা করে তা নয়, বরং মানুষ সর্বোচ্চ কত বছর বেঁচে থাকতে পারে তা খুঁজে বের করা।
একই বিষয়বস্তু নিয়ে আমেরিকায় পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তা নেদারল্যান্ডসে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে অনেকাংশেই মিলে গেছে।
গত কয়েক দশকের তথ্য পর্যালোচনা করে মার্কিন গবেষকেরা দেখেছেন-দেশটিতে কোনো মানুষের বয়স ১১৫ বছরের সীমা অতিক্রম করতে পারেনি।
তবে এসব পরিসংখ্যান ফরাসি নারী জ্যঁ লুই ক্যালমেন্তে সামনে এসে নিঃসন্দেহে মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ তিনি ১২২ বছর ধরে বেঁচে ছিলেন। বয়সে বিশ্ব রেকর্ডধারী এই নারী ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করে মারা গিয়েছিলেন ১৯৯৭ সালে। তবে পৃথিবীর অজানা সংখ্যক মানুষের বয়সসীমা আমলে নিলে ক্যালমেন্তের রেকর্ড ঠিক থাকবে কি-না তা কেউ জানে না।
নেদারল্যান্ডসের গবেষক এইনমাহল সর্বোচ্চ বয়সসীমা নিয়ে তার গবেষণাপত্রটি আগামী মাসেই অনলাইনে প্রকাশ করবেন। এই গবেষণায় দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি পাওয়া গেলেও যেতে পারে।