ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (আইএসআরও) চেয়ারম্যান এস সোমনাথসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ উপলক্ষে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি মন্দিরে প্রার্থনা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানীদের দলটি চন্দ্রযান-৩-এর একটি ক্ষুদ্র মডেল নিয়ে খুব ভোরে তিরুপতি ভেঙ্কটাচলপথি মন্দিরে পৌঁছান। মহাকাশযানটি পরদিন শুক্রবার দুপুরে উৎক্ষেপণ করা হয়।
সোমনাথ সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার চেঙ্গালাম্মা দেবীর আশীর্বাদ দরকার। আমি এই মিশনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করতে এবং আশীর্বাদ পেতে এখানে এসেছি। আগামীকাল চন্দ্রযান-৩ যাত্রা শুরু করবে। আমরা আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে এবং এটি ২৩ আগস্ট চাঁদে অবতরণ করবে।’
বিজ্ঞানীদের মন্দিরে যাওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকেই তাঁদের বৈজ্ঞানিক বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার অনেকেই ভারতের সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখার জন্য তাঁদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘এটা খুব সুন্দর। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার আগে আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। আইএসআরও টিমের জন্য শুভকামনা। আমাদের দেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।’
আরকজন লিখেছেন, ‘ভগবানের আশীর্বাদের কি দরকার আছে? তিনি কি বিজ্ঞানী নন? এই ধরনের লোকেরা সমাজে ধর্মকে চরমে তোলে।’ তৃতীয় একজন টুইট করেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ইসরো বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে!’
তবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই বলেছেন, বিজ্ঞান ও ধর্মকে গুলিয়ে ফেলা বিপজ্জনক।