বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি (বিএসপিএ) তাদের ২০২৪ সালের সেরা ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করেছে। জমকালো অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরাদের হাতে ‘কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ তুলে দেওয়া হয়। এতে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়া, জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা জিতেছেন পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড।
বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের প্রাচীনতম সংগঠন। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ সংগঠনটি সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংশ্লিষ্টদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তারকাবহুল এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৫টি ক্যাটাগরিতে ১৩ জন ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বিএসপিএ সভাপতি রেদওয়ান-উজ-জামান রাজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
পুরস্কার পেয়ে স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার মেহেদী হাসান মিরাজ বিএসপিএকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ ঘটে।
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জয়ী ঋতুপর্ণা চাকমা ভুটান লিগে খেলতে যাওয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ভিডিও বার্তায় তিনি বিএসপিএকে ধন্যবাদ জানান এবং এই পুরস্কার তাঁকে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিএসপিএকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই আয়োজন সবার মধ্যে স্বপ্ন ও আশার সঞ্চার করবে। তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং ক্রীড়া খাতে আরও প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
গেস্ট অব অনার স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বিএসপিএর সঙ্গে ১২ বছর ধরে থাকতে পেরে আনন্দিত বলে জানান এবং ভবিষ্যতে তারা যত দিন চাইবে, স্কয়ার টয়লেট্রিজ বিএসপিএর সঙ্গে থাকবে বলে জানান। তিনি জেলা পর্যায়ে খেলাধুলা ঝিমিয়ে গেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানান।
২০২৪ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা:
স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার: মেহেদী হাসান মিরাজ (ক্রিকেট), রানারআপ ঋতুপর্ণা চাকমা (ফুটবল) ও সাগর ইসলাম (আরচারি)।
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড: ঋতুপর্ণা চাকমা (ফুটবল)।
বর্ষসেরা ক্রিকেটার: মেহেদী হাসান মিরাজ।
বর্ষসেরা ফুটবলার: ঋতুপর্ণা চাকমা।
বর্ষসেরা আরচার: সাগর ইসলাম।
বর্ষসেরা অ্যাথলেট (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড): জহির রায়হান।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: নাহিদ রানা (ক্রিকেট)।
বর্ষসেরা দাবাড়ু: মনন রেজা নীড়।
বর্ষসেরা দলগত সাফল্য: জুনিয়র বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি দল।
সক্রিয় সংস্থা: যশোর শামস-উল-হুদা একাডেমি।
বর্ষসেরা কোচ: মওদুদুর রহমান শুভ (হকি)।
তৃণমূলের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব: বীরসেন চাকমা (ফুটবল সংগঠক, রাঙামাটি)।
বর্ষসেরা সংগঠক: মো. ইমরুল হাসান (সভাপতি, বসুন্ধরা কিংস)।
বর্ষসেরা আম্পায়ার: শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
বিশেষ সম্মাননা: হামিদুল ইসলাম (২০১০ এসএ গেমস সোনাজয়ী ভারোত্তোলক)।