নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন অসুস্থ থাকায় একজন সহসভাপতির নেতৃত্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। একজন নয়, মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তিন সহসভাপতি। সঙ্গে নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
বাফুফের হয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের নেতৃত্ব দিলেন বেশ লম্বা সময় ধরে আড়ালে থাকা আবদুস সালাম মুর্শেদী। মন্ত্রী পাপনের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টার বৈঠকে বাফুফের চাওয়া ছিল অনেক। নারী সাফের স্বাগতিক হওয়ার জন্য মাঠ, প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল আয়োজনের জন্য চারটি মাঠ চেয়েছে সংস্থাটি। তবে উল্লেখযোগ্য চাওয়ার মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে বাফুফের চাওয়া ছিল ১০০ কোটি টাকার সিড মানি বা থোক বরাদ্দ।
ফুটবলের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছে ৫ বছরের মেয়াদে ৫৮৭ কোটি টাকা চেয়েছিল বাফুফে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে তাদের সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। এর আগে সরকারের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকার সিড মানি পেয়েছিল ফেডারেশনটি। সেই অর্থ খরচের সঠিক কোনো হিসাব দিতে না পারায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বাফুফের।
সরকারের কাছে বাফুফের এই চাওয়া উপস্থাপন করলে কতটুকু ফল আসবে তা নিয়ে নিজেই সন্দিহান পাপন। বাফুফের চাওয়ার বিপরীতে আপাতত পৃষ্ঠপোষক ব্যবস্থা করে দেওয়ার দিকে নজর দিচ্ছেন তিনি, ‘এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসতে হবে। কতটুকু রাজি করানো যাবে সেটা আমি জানি না। আমি আপাতত চেষ্টা করছি তাদের সামনে যেসব খেলা আছে সেসব খেলার পৃষ্ঠপোষক ব্যবস্থা করা যায় কিনা। যেসব অবকাঠামো আছে এই মুহূর্তে আছে, পরিকল্পনায় থাকা খেলাগুলো বাফুফে সেখানে শেষ করতে চায়। আপাতত নজর এতটুকুই।’
এই বছর নারী সাফের স্বাগতিক হওয়ার দৌড়ে আছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেই টুর্নামেন্ট করার ইচ্ছা থাকলেও স্টেডিয়াম তৈরি না হওয়ায় আপাতত পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে বাফুফে। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কিংস অ্যারেনা বা আর্মি স্টেডিয়ামের নাম জানালেন সালাম মুর্শেদী।