সেঞ্চুরিয়নে ভারতকে পেলেই অন্য এক লুঙ্গি এনগিডির দেখা মেলে। ৩ বছর আগে এ মাঠেই নিজের টেস্ট অভিষেকে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জেতান দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
গতকাল আরেক দফা ৬ উইকেট শিকার করেছেন এনগিডি। প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারের তোপে প্রথম ইনিংসে ২৭৮ / ৩ থেকে ৩২৭ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল (১২৩) আউট হতেই মড়ক লাগে সফরকারীদের ইনিংসে। এনগিডির সঙ্গে কাগিসো রাবাদার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আর ৪৯ রান যোগ করতেই থেমে যান রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
বৃষ্টির কারণে পরশু ম্যাচের দ্বিতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। কাল প্রথম দিনের ৩ উইকেটে ২৭২ রান নিয়েই তৃতীয় দিন শুরু করে ভারত। তবে শুরু থেকেই টপাটপ উইকেট খোয়াতে থাকে। গতকাল মাত্র ১৫.৩ ওভার টিকতে পারে তারা।
শামি একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এ নিয়ে ছয়বার ‘ফাইফার’ পূরণ হয়েছে তাঁর। সঙ্গে ২০০ টেস্ট উইকেট শিকারের কীর্তিও গড়েছেন তিনি। ৫৫ টেস্ট খেলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি, যা ভারতীয় পেসারদের মধ্যে তৃতীয় দ্রুততম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন শামি। সেই বোলারই কী দারুণভাবেই না ঘুরে দাঁড়ালেন!
২০০ উইকেটের ক্লাবে নাম তুলতে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেবকে খেলতে হয়েছে ৫০ টেস্টে, জাভাগাল শ্রীনাথকে ৫৪ টেস্ট। সব মিলিয়ে ১১ তম ভারতীয় বোলার হিসাবে ২০০ উইকেট নিয়েছেন শামি। আর পেসার মধ্যে পঞ্চম। শামি, কপিল, শ্রীনাথ ছাড়া বাকি দুজন জহির খান এবং ইশান্ত শর্মা।
শামির দুরন্ত বোলিংয়ে ভারত প্রথম ইনিংসে নিয়েছে ১৩০ রানের লিড। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে হারিয়ে ১৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। এগিয়ে আছে ১৪৬ রানে।