হোম > খেলা > ক্রিকেট

নাহিদ রানার বোলিংয়ে মুগ্ধ টপলি

আহমেদ রিয়াদ, সিলেট থেকে

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ০২
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ০৮
রিস টপলি। ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন: এবার সিলেটের মাঠে খেলবেন সিলেটের হয়ে। কেমন লাগছে?

রিস টপলি: সিলেট একটি চমৎকার দল, দলের সবাই অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। এটি আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। সিলেটে সমর্থকদের সামনে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।

প্রশ্ন: নিজের ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?

টপলি: ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে ভাবি না। বল হাতে ছন্দে আছি এবং শারীরিক দিক থেকেও ভালো অনুভব করছি। কঠোর পরিশ্রম এবং পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই অবস্থায় পৌঁছাতে পেরেছি, যা আমাকে মাঠে সর্বোচ্চটা দিতে আত্মবিশ্বাস জোগায়।

প্রশ্ন: ম্যাচের শুরুতে বল সুইং করানোয় আপনার দক্ষতা অনেক ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক ধারাবাহিকতার মূল রহস্য কী বলে মনে করেন?

টপলি: সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা এবং ধারাবাহিক অনুশীলনই আমার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। পাশাপাশি ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝা এবং বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে আমাকে সাহায্য করেছে।

প্রশ্ন: সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্থানীয় কোনো তরুণ কি আপনার নজর কেড়েছে?

টপলি: তানজিম সাকিবের বোলিং সত্যিই অসাধারণ। খেলাটার প্রতি তার ভালোবাসা এবং স্কিল আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি তাদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি এবং যতটা সম্ভব তাঁদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।

প্রশ্ন: সিলেটের বিপক্ষে রংপুরের পেসার নাহিদ রানা দারুণ বোলিং করেছেন। কেমন দেখলেন তাঁর পারফরম্যান্স?

টপলি: নাহিদ রানার বোলিং সত্যিই দারুণ লেগেছে। তার গতি এবং লাইন-লেন্থ ছিল প্রশংসনীয়। সাধারণত বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এমন গতির বোলিং কম দেখা যায়। তাসকিন ও নাহিদের বোলিং দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। এরা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় সম্পদ।

প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ার এরই মধ্যে অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী। এই পর্যায়ে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কীভাবে অনুপ্রাণিত হন?

টপলি: আমার কাছে প্রতিটি দিন নতুন একটি চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আমাকে প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করে। নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকে।

প্রশ্ন: ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের ছড়াছড়ি ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কতটা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?

টপলি: টি-টোয়েন্টি লিগগুলো আমাকে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ দিচ্ছে এবং আমার স্কিল উন্নত করার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জে পরীক্ষিত হতে সাহায্য করছে। এগুলো শুধুই অভিজ্ঞতা অর্জনের প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং আমার সামগ্রিক দক্ষতা উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য।

প্রশ্ন: ক্রিকেট একদমই মাথায় না রাখার দিনটা কেমন কাটে আপনার?

টপলি: ক্রিকেটের বাইরে একদিন কাটানোর জন্য আমি সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই, গান শুনি বা সিনেমা দেখি। প্রকৃতির মাঝে হাঁটতে বের হওয়া কিংবা ভালো কোনো বই পড়াও আমার খুব পছন্দ। এটা আমাকে মানসিকভাবে চাঙা করে তোলে।

প্রশ্ন: এই কদিনে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা হয়েছে?

টপলি: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির সঙ্গে শ্রীলঙ্কার দারুণ মিল। সিলেট বেশ সবুজ। আমার ভালো লেগেছে। এখানে মানুষের ক্রিকেটের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসাও অসাধারণ।

প্রশ্ন: চাপের মধ্যে, বিশেষ করে ডেথ ওভারে শান্ত থাকার গোপন রহস্য কী?

টপলি: ডেথ ওভারে শান্ত থাকার মূলমন্ত্র হলো পরিকল্পনায় অটল থাকা এবং নিজের দক্ষতায় বিশ্বাস রাখা। আমি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা বিশ্লেষণ করি এবং সেভাবে বোলিংয়ের পরিকল্পনা করি।

প্রশ্ন: যখন কন্ডিশন পেস বা সুইংয়ের পক্ষে থাকে না, তখনো কীভাবে কার্যকর হয়ে ওঠেন?

টপলি: এমন পরিস্থিতিতে আমি স্লোয়ার, বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টা করি কিংবা লেন্থ পরিবর্তনের প্রচেষ্টা থাকে। ব্যাটারদেরও পড়ার চেষ্টা করি, যাতে তাদের দুর্বল জায়গায় করা যায়। উইকেট বা কন্ডিশন যেমনই হোক না কেন, মানসিকভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

বাবর-রিজওয়ানদের জন্য আইসিসির দু:সংবাদ

টেস্টে দ্বিস্তর চান না লয়েড

হারের চাকা কিছুতেই থামছে না ঢাকার, জিতেই চলছে রংপুর

‘তারা সত্যি বাংলাদেশকে ভালোবাসে’