ভারতে গাড়ির কারখানা তৈরির বিষয় থেকে সরে এসেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের বাজারে প্রবেশের বিষয় থেকে সরে আসে। ভারত আমদানি শুল্ক কমাতে না পারায় মূলত সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় টেসলা। এছাড়া বিক্রি কমে যাওয়া একটি বড় কারণ। প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় কর্মচারীদের পুনরায় নিয়োগ করতে শুরু করেছে।
ভারত থেকে সরে এখন ইন্দোনেশিয়ায় গাড়ির কারখানা তৈরির বিষয়ে ভাবছে টেসলা। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন টেসলা ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।
ইলন মাস্ক বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া ব্যবসার ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনাময়। ফলে দেশটির সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা যায়। টেসলার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া সরকারের অংশীদারি গড়ে উঠতে পারে।’
এর আগে গত বছর এই টুইট বার্তায় মাস্ক বলেছিলেন, ‘ভারতে আমদানি শুল্ক অনেক বেশি। তা ছাড়া ‘শুদ্ধ’ জ্বালানির (বৈদ্যুতিক) গাড়িকে ভারতে ডিজেল-পেট্রলের গাড়ির সঙ্গে একই কাতারে দেখা হয়, যা আবহাওয়া (দূষণ) সংক্রান্ত ভারতের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে খাপ খায় না।’
শুধু টেসলা নয়, ২০১৭ সাল থেকে একে একে ভারত ছেড়েছে জেনারেল মোটরস, ফিয়াট, ফোর্ড মোটরসহ অন্তত আটটি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতে গাড়ি বানানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ফোর্ড মোটর কোম্পানি। কোম্পানিটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে ব্যবসা করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি লাভের মুখ দেখেনি, উল্টো ক্ষতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (ফাডা) বলেছে, ফোর্ড, জিএম, ম্যান ট্রাক, ফিয়াট, হার্লের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত ছাড়ায় চাকরি হারিয়েছেন ৬৪ হাজার মানুষ এবং ডিলার বিনিয়োগে ক্ষতি হয়েছে ৪৪ কোটি ৪ লাখ ডলার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণের বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ প্রতিকূল নীতি গ্রহণ, দেশে তৈরি গাড়ি কিংবা গাড়ির ওপর চড়া শুল্ক এবং করোনার প্রভাব।
টেসলা সম্পর্কিত আরও পড়ুন: