ফিচার ডেস্ক
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ) এবং রবি আজিয়াটা পরিচালিত বাংলাদেশ সেইফ ইন্টারনেট ফোরাম (বিএসআইএফ)। ইন্টারনেটভিত্তিক অনৈতিক কার্যক্রম, সাইবার অপরাধ, পরিচয় জালিয়াতি এবং শিশু ও নারীদের জন্য সাইবার সুরক্ষার ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য জনসচেতনতা তৈরিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাইবার সুরক্ষার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং দক্ষতার উন্নয়নে কাজ করে আসছে সিসিএএফ। আর বিএসআইএফ ইন্টারনেট ব্যবহারের দায়িত্বশীলতা ও নিরাপত্তা বিষয়টি প্রচারে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘সাইবার সুরক্ষার ঝুঁকি কমিয়ে একটি নিরাপদ ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
যৌথ এই উদ্যোগের আওতায় গ্রহণ করা পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউআরএল ব্লকিং পরিষেবা। এর মাধ্যমে জাতীয় টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সহায়তায় অনৈতিক এবং ক্ষতিকর ওয়েবসাইট ম্যানুয়াল পদ্ধতির পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের সুরক্ষায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় ওয়ান-স্টপ সেবার জন্য চালু করা হয়েছে যোগাযোগ হেল্পলাইন ১০৯৮। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের মতো সেবামূলক সংস্থার সঙ্গে এসব কার্যক্রমের আওতা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার কাজ এগিয়ে চলছে।
সিসিএএফের প্রেসিডেন্ট কাজী মুস্তাফিজ বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা সাইবার সুরক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককে সম্পৃক্ত করার ইচ্ছা রয়েছে।’