অনলাইন ডেস্ক
ইরানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে চায় ইলন মাস্কের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। এ জন্য ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পেসএক্সের প্রধান মাস্ক। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে করা টুইটের জবাবে এই তথ্য জানান তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইরানি বংশোদ্ভূত বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক এরফান কাসরাই টুইটারে বলেছিলেন, ইরানে স্পেসএক্সের সেবা চালু করা সম্ভব হলে তা ইরানের ভবিষ্যতের জন্য একটি সত্যিকারের ‘দিন বদলের’ হাতিয়ার হয়ে উঠবে। পরে তাঁর এই টুইটের প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান ইরানে সেবা দিতে মার্কিন প্রশাসনের কাছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন করবে।
স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, তিনি দুনিয়াজুড়ে এমন ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান যা বিশ্বের সব মহাদেশেই সহজলভ্য হবে। এমনকি অ্যান্টার্কটিকায়ও। তাঁর ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহাশূন্যে ৪২ হাজার স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। এরই মধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছেন।
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এ পর্যন্ত কয়েক হাজার স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করছে। অনেকেই এসব স্যাটেলাইট আকাশে উৎক্ষেপণ হতে দেখেছেন। আর এটি স্টারলিংক প্রকল্পের অংশ, যার লক্ষ্য মহাকাশ থেকে পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করা।
স্টারলিংক স্যাটেলাইটের বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করে। পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির স্পেস প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. লুসিন্ডা কিং বলেন, ‘যুক্তরাজ্যবাসী এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে রয়েছে, তবে আফ্রিকার মতো জায়গায় আরও অনেক বেশি মানুষ আছে।’ স্টারলিঙ্কের উপগ্রহগুলোকে পৃথিবীর চারপাশে নিম্ন-স্তরের কক্ষপথে রাখা হয়েছে যাতে উপগ্রহ এবং ভূমির মধ্যে সংযোগের গতি যতটা সম্ভব দ্রুত করা যায়।
চলতি বছরের প্রথম সাত মাসের মধ্যেই মহাকাশে ৩২টি স্যাটেলাইট পাঠিয়ে রেকর্ড করেছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। বিশ্বব্যাপী নিজের ইন্টারনেট সেবা ছড়িয়ে দিতে কক্ষপথে নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই একের পর এক স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে স্পেসএক্স। গত বছর সর্বোচ্চ ৩১টি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান।